একদিন দুপুরবেলা ঘরের কিছু কাজ সারছিলাম। বেল বাজল আর বেল বাজতে ভেবেছিলাম কে না কে এসেছিল কিন্তু ভুল ভাঙল যখন দেখলাম একটা পার্সেল এল এবং সেটা আমাকেই পাঠানো তাতে লেখা এক্সট্রিমলি আর্জেন্ট। খুলতে মনে হয়েছিল কোনো নতুন অতিথি যেন এসেছে আর আমাকে তাকে সময় দিতে হবে কিন্তু ব্যাপারটা হল যে একইসঙ্গে আনন্দ হয়েছিল দুটো কারনে। প্রথমত এত আপন করে কেউ আগে মনে হয় পাঠায় নি আর দ্বিতীয়ত বই পাওয়ার এক অনাবিল সুখ। হয়ত বইপ্রেমীদের কাছে এমনটা মনে হওয়া কোন নতুন কিছু নয়। কিন্তু আজকাল দেখি কোন বিশেষ অনুষ্ঠানে বই উপহার দেওয়া বেশ কমে গেছে। অথচ কবির সংখ্যা ফেসবুকের দৌলতে প্রচুর। আপনি হয়ত বিশেষ অনুষ্ঠানে অন্য দামি উপহারের সমান মূল্যে বই দিলেন। যিনি উপহার গ্রহণ করলেন তিনি বই দেখে ভাবলেন ধুর কি আর এমন উপহার দিলেন। এই ভেবে সরিয়ে রেখে দিলেন। কিন্তু এই বই যখন একটা ছোটখাটো বাড়ির লাইব্রেরি বানায় তখন ঘর তো মাধুর্যহীন হয়ে পড়ে না বরঞ্চ বাড়ায়। আবার আপনি বা আপনার বাড়ির সদস্য সেসব বই পড়ে অনেককিছুর সান্নিধ্য লাভও তো করে। আর বইবাজারও রমরমিয়ে চলে। আমি তো ভাবছি। আসুন আপনারাও ভাবুন উৎসব অনুষ্ঠানে বই উপহারস্বরূপ দেবেন কিনা।
এবারের জিবাকের ওয়েবের সংখ্যার পাশাপাশি মুদ্রিত সংখ্যার জন্যও লেখা চাওয়া হয়েছিল খুব কম দিনের মারফত প্রচুর লেখা এসেছে। আমরা আপ্লুত যে এত মানুষ জিবাকের পাশে রয়েছেন। খুব শীঘ্রই আর এক সুসংবাদ আসতে চলেছে আপনাদের কাছে। জিবাকের পুরো কনসেপ্ট অর্থাৎ তিনটে পর্বই মুদ্রিত হয়ে প্রকাশিত হতে চলেছে। মুদ্রণের কাজও প্রায় শেষের দিকে এখন শুধু প্রকাশিত হবার দিনটার জন্য অপেক্ষা। এপ্রিল সংখ্যায় তিনটে বুকরিভিউ রাখা হল, অনুপ বৈরাগীর জিরো বিতান তো রয়েছেই আর এই সংখ্যা থেকে ধারাবাহিক ডায়েরি প্রকাশিত হবে। আপনারা পড়ুন জিবাক ম্যাগাজিন। আমাদের কাছে জানান কেমন লাগল আর কিছু সাজেশন থাকলে সেটাও জানান। আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করব সেইসব মতামতকে গুরুত্ব দেবার।
পরিশেষে বলি, আসন্ন নববর্ষ আমাদের কাছে এক বড় উৎসব হয়ে উঠুক। গরমকাল, বেশি করে জল খান আর সুস্থ থাকুন। আমাদের পাশে থাকুন আমাদের সঙ্গে থাকুন। শুভ হোক সব দিন।
No comments:
Post a Comment