জিরো বাউন্ডারি কবিতার পঞ্চম সংখ্যার জন্য লেখা জমা দেওয়ার লাস্ট ডেট মে মাসের ১০ তারিখ। দুটো কবিতা বা কবিতা বিষয়ক লেখা নিজের এক কপি ছবি সমেত পাঠিয়ে দিন আমাদের ইমেলে-0boundarykabita17@gmail.com

শিবশংকর পাল



নৈশ স্কুলের দরোজা

 শান্তিময় রাত ছিঁড়ে ছিঁড়ে যে চাঁদ তোমার উঠোনে জলছড়া দেয়
ঝুলে থাকে ঢেউয়ের কিনারে নির্জন মানুষের মতো
হাত রাখে ছায়ারিডে, রাতের পিয়ানো বাজায় একা অবিরাম
সে আসলে নাবিক ।  বড় বেশি উদ্বেল মেঘের পরে পরে লুকিয়ে রাখে জলখাবার
বিশ্বজুড়ে ভাঙাগড়ার বিদ্যালয় উঠে গেলে এ ভূমির নাবিকেরা
ফিরে আসে রৌদ্রজল উপেক্ষা করে বালির শয়ানে নৈশ ইস্কুলের দরোজা খুলবে বলে
ভোরবেলায়  ফুল কুড়োতে যাওয়ার সময় তাঁরা কুড়িয়ে আনে মিশাইলের ভাঙা শেল মর্টার
নাবিকেরা জানে মেদিনীর গ্রাসের ভেতর আছে অগণিত অন্নগ্রাসের পারন



অলৌকিক যান  


গান থেকে রক্ত ভেসে আসে
সুর ফেরি হয়ে গেলে
জানালার কাছে হারমোনিয়াম একা বিষণ্ণ রেখাপাত করে  

তিন প্রহর সময় থেকে
বরফমালা
আর
লেবুর ভেতরের
রোদ ও মাংস ঝলসে যায়

পুরনো বাড়ির জানলা নিয়ে বসে থাকে যে ছবি  
তার কোনো তোরঙ্গ নেই
চাবি উড়ে যায় দূর নদীপারে একা

তখন
রোদ মরে
রাত গড়ায়
লাল নামে
ভোরের চিবুকে

সুদখোর দুপুর ভিজতে চলে যায়  
হঠাৎ আসা মেঘের প্রণয়ে

আমাদের বাল্যকাল আকাশে উড়তে থাকে

ভিনগ্রহী এসে পড়ে লেবুদের অলৌকিক যানে  




পরমান্ন  


পাথরপ্রতিম গাছ
তার নিচে ঝরে পড়ে পাতা
নিশিরাগ ছুঁয়ে ছুঁয়ে দু-এক ফোঁটা হৃদজল   

ধ্যান ভাঙানো পায়েস
দুচোখের পাতা ছুঁয়ে আছে 

বালুচর নদীসার ঘিরে স্রোত
ডিঙি বেঁধে রাখে সহচর গাছ

এইসব সহজ জল
অভুক্ত জীবনবিষাদের গৌরচন্দ্র

তখনও বাতাস কাঁপে দূরে
কেঁপেছিল নিশিরক্ত হাত

ঘরটানের স্তম্ভ মঠরেখা সরিয়ে দেয় বলে  
শুকনো পাতাটি তুলে নেয় আনন্দ
খড়ি দিয়ে আঁকা পুরাতন ছবি  

আজও সেই পথে হেঁটে যায় নক্ষত্র
রোদবৃষ্টি হাঁটে অবিচল
পরমান্নের টানে

রাতভোজনের পর পথিকেরা
স্বপ্ন জ্বেলে দিয়ে চলে যাবে পুস্তকের বিবর্ণে 

আমাদের পুকুরে ছায়া পড়বে তার 

No comments:

Post a Comment