ডানা ভেঙে গেলে নদী এসে ধরে
পকেটে একপশলা জল নিয়ে বৃষ্টির বুলি কুপচাই
অথচ তুমি চেয়েছিলে আমাদের সন্তানের নাম হোক শ্রাবন
আর আমি নদী
শুধু পার্থক্য বুঝিনি
যতটুকু বুঝেছিলাম জীবনের এপার ওপার
আমাদের ফেলে আসা দ্বীপের ভিতর থেকে গল্প তুলে এনে
যতটুকু বুঝেছিলাম জীবনের এপার ওপার
আমাদের ফেলে আসা দ্বীপের ভিতর থেকে গল্প তুলে এনে
সে ঋতু বদলে গেছে
অনন্ত সমাধি জুড়ে সেজে আছে পলাশের ডাল
অনন্ত সমাধি জুড়ে সেজে আছে পলাশের ডাল
কেন কোন দ্বীপ বলে গেলে না?
এ পৃথিবীর সমস্ত নেটওয়ার্ক আজ ব্যর্থ হয়ে গেল
তোমার মায়ায়
এ পৃথিবীর সমস্ত নেটওয়ার্ক আজ ব্যর্থ হয়ে গেল
অফিস রুমে বসে নদীকে লেখা একটি চিঠি
কাঠের ফাঁকা দিয়ে জল বেরিয়ে আসছে
আর হাওয়ায় কেঁপে উঠছে অফিস রুম
দূর থেকে তারও দূরে শব্দ উড়ছে, জলের ভেতরে
আর হাওয়ায় কেঁপে উঠছে অফিস রুম
দূর থেকে তারও দূরে শব্দ উড়ছে, জলের ভেতরে
সাঁকো পেরোচ্ছে নদী
মাঝি চেপে ধরেছে হাল
সস্তার পাল উড়িয়ে দিয়েছে স্বচ্ছ জানালা
আজ সন্মানের লড়াইয়ে খরস্রোতা কাঠের পাটাতন
সস্তার পাল উড়িয়ে দিয়েছে স্বচ্ছ জানালা
আজ সন্মানের লড়াইয়ে খরস্রোতা কাঠের পাটাতন
জল শুয়ে আছে নদী ভালোবেসে
সাঁকোর কঙ্কাল বেরিয়ে আসছে
অফিস রুম জুড়ে বেজে চলছে বসের পার্টি
নিরামিষ কাঠ ও চেয়ারের ফাঁকে
অফিস রুম জুড়ে বেজে চলছে বসের পার্টি
নিরামিষ কাঠ ও চেয়ারের ফাঁকে
জোয়ারে ভেসে যাচ্ছে মাঝির আশ্চর্য হাত
শাওয়ারের ইতিহাস
কলমীলতার ফাঁকে শেষ রোদ সরে গেলে
অন্ধকারে লুকিয়ে যায় সাতাশের সেই লুকোচুরি
তারপর একটা সুদীর্ঘ ছায়াপথ ধরে হেঁটে যাই...
অন্ধকারে লুকিয়ে যায় সাতাশের সেই লুকোচুরি
তারপর একটা সুদীর্ঘ ছায়াপথ ধরে হেঁটে যাই...
ক্রমশ দখল নিতে আসে পপি দির নরম আঙুল
তালের বড়ার মত লেপ্টে থাকা হাতে
এই নিয়ে কত রাত আয়নাতে শৈশব খুঁজি
তালের বড়ার মত লেপ্টে থাকা হাতে
এই নিয়ে কত রাত আয়নাতে শৈশব খুঁজি
ওইখানে থেকে গেছে শাওয়ারের শেষ শ্বাস টুকু
বন্ধ জলাশয়ে
কে যেন বলেছিল কবে
বন্ধ জলাশয়ে
কে যেন বলেছিল কবে
আমাদের শাকগুলো একদিন ইতিহাস হবে
No comments:
Post a Comment