জিরো বাউন্ডারি কবিতার পঞ্চম সংখ্যার জন্য লেখা জমা দেওয়ার লাস্ট ডেট মে মাসের ১০ তারিখ। দুটো কবিতা বা কবিতা বিষয়ক লেখা নিজের এক কপি ছবি সমেত পাঠিয়ে দিন আমাদের ইমেলে-0boundarykabita17@gmail.com

মৌসুমী রায় ঘোষ



জলনামা



একটা উজ্জ্বল জ্যোতিষ্কের আগুনকণা সহস্র আলোকবর্ষ পাড় করে আমার চোখ ধাঁধিয়ে দেয়। ঈষৎ বাদামী চোখের মণি সাথে সাথে অগ্নিরুপ ধারন করে। আর আমি চিল্তায় ডুবে ভাবতে থাকি মুক্তির উপায়। সেই ভীষন উত্তাপ আমাকে তাড়িয়ে নিয়ে বেড়ায় দিকে দিগন্তে। কি জানি কোন অমোঘ নেশায় অসহায় আত্মসমর্পন। তৃষ্ঞা চোখে জিভ বাড়িয়ে নাগালে আসেনা জলাধার। শৈশবগুঞ্জনের সাথে যেন গাঢ় ষড়যন্ত্র। লঘু সীমান্তে এসে ক্লান্ত পরিযায়ী বিশ্রাম নেয় যেভাবে। ঠিক সেরকমই ফুটে ওঠে অবয়ব সোঁদাগন্ধ মেখে আড়মোড়া ভেঙে। আমার সাথে এক কাকতালিয় সম্পর্কে জড়িয়ে যায় গ্রাম্য শীতলতা। এক আবেশ চাদরে মুড়ে বুকের মাঝে গান শোনায়। তার গুনগুন কাটিয়ে দেয় কপালের ভাঁজ। গঙ্গাস্নানের সময় রক্তে লাগেনি গঙ্গার ছোঁয়া। অশুদ্ধ স্নান কি পারে স্বর্গদ্বার দর্শাতে? আমার পাওনা কিছু বাকি আছে মাঝির কাছে। যার বৈঠা অনবরত জলের বুকে আঘাত করে আর মুখ ভ্যাঙচায় জলবাসী প্রাণীগুলোকে।







কল্পনার কয়েকটি লাইন



তুলির প্রতিটা টানে জন্ম নেয় চরিত্রেরা। তাদের সংলাপে কেটে যায় ব্যাস্ত জীবন। পারমাণবিক আঁচড় যখন অস্তিত্বে থাবা বসায়, তখনি মনে পরে যায় গহিনতার কথা। সেটা জঙ্গল বা জলেরও হতে পারে। মাটির অনেক নীচ থেকে ভেসে আসে ডাইনোসর গর্জন। লেজের ঝাপটায় ছিটকে ওঠে তুষার ঝড়। তার সামান্য আঁচ কখনও কখনও উসকে দেয় চেতনা। একটা নতুন দৃষ্টিপথে পৃথিবীর রুপ। চেপে বসা তকমাটা তারমধ্যে দিয়ে গলে গেলেও যেতে পারে। তবে তার জন্য তৈরী থাকতে হবে মানস সৌন্দর্য্য মেলে। যদি পারতাম অতল ঘুমে তলিয়ে যেতে কিছু স্বপ্ন কুড়িয়ে আনতাম। জোড়া দিতে দিতে হতে পারতো এক নতুন দ্বীপ। জনজীবনের নতুন ঠিকানায় পৌঁছে যেতে পারতো কয়েকটি বার্তা। কিছু মন্ত্রগোষ্ঠির তরফে হয়তো থাকতো কিছু উচাটন। হিমসাগরে সাঁতার পারি দিতে লক্ষ্যে পৌঁছনোর আকুতি। সবশেষে ব্যাঙাচি দশায় ফিরে যাওয়া।







No comments:

Post a Comment