ঘ্রাণ
দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান,একটা ক্ষীণ কান্না ,
কিন্তু হাসি এসে মিলিয়ে গেলো ঠোঁটের কোণে!
মা জানলো, হয়তো বা অবাক পৃথিবীও জানলো-
জঠরের অসম্পূর্ণ ভ্রুণে-
জন্ম নিয়েছে পুত্র নয় কন্যা ও নয়, জন্ম নিয়েছে তৃতীয় লিঙ্গধারী একটি অবয়ব।
সে ঠিক স্বাভাবিক মানুষের মতো মানুষ নয় ,
আর পাঁচটা শিশুর মতো ও নয়,
কিন্তু সেও তো দশ মাস দশ দিন সযত্নে লালিত মার্তৃ জঠরের ঘ্রাণ!
ধূপের মতো
প্রকৃতি নির্জনতা আঁধার
রূপকথার মতো ঘিরে রাখে
নিঃসঙ্গ জীবন আমার,
জ্যোৎস্না চাঁদ নক্ষত্রের আকাশ
পেয়েছে যে আজ
ভালোবাসার অবকাশ,
শুণ্যে আজ উড়িয়ে দিলাম
তাই একমুঠো প্রেম
ভরে দিও তাতে উষ্ণতার হেম,
ধূপের মতো জ্বলে যদি
হই নিঃশেষ ,তাও রেখে যাবো
রজনীগন্ধা আর চন্দনের আবেশ।
রাই
ঠোঁটে ঠোঁটে প্রজাপতি উড়ছে
টলমল বুকে রাই ভাসছে,
প্রেম থই থই দুধপুকুরে
পদ্ম শালুক জাগছে,জাগছে।
নাভিমূলে হাস্নুহানা ফুটছে
উরুসন্ধির কালো তিল
ভালোবাসা যে খুঁজছে
প্রেম সায়রে রাই ডুবছে ,ডুবছে।
কোমলগান্ধার সুরে শরীর ভিজছে
এলো চুলে রাই ফুল তুলছে
নুপুরের রিনিঝিনি রিনিঝিনি
শরীরে ঝড় তুলেছে,ঝড় তুলছে।
ভেজা ভেজা অঙ্গের কাঁপনে
আগুন তো জ্বলছে নিভছে
উষ্ণ শীতল বারুদের নির্যাসে
রাই তবু ভালোবাসছে,ভালোবাসছে।
No comments:
Post a Comment